বাগেরহাটে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নাঈম খান (২৮) নামের সমাজসেবা কার্যালয়ের এক কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের গাংনী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাঈমের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি।

নিহত নাঈম খান মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের গাংনী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার আবুল খানের ছেলে। তিনি মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির (পিয়ন) কর্মচারী ছিলেন।

স্থানীয় লোকজনের বরাতে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে বাড়ির কাছে এক দোকানে বসে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মচারী নাঈম খান ও তাঁর কয়েক বন্ধু মিলে মুঠোফোনে লুডু খেলছিলেন। লুডু খেলার মধ্যে তাঁর ফোনে একটি ভিডিও কল আসে। তিনি খেলা বন্ধ রেখে কথা বলতে দোকানের পেছনে হিরণ মাস্টারের পরিত্যক্ত ঘরে চলে যান।

ওসি সোমেন দাস আরও বলেন, অনেক সময় পার হলেও নাঈম ফিরে না আসায় তাঁর বন্ধুরা তাঁকে খুঁজতে দোকানের পেছনে যান। সেখানে যেয়ে তাঁরা নাঈমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নির্জনে কথা বলতে আসার সুযোগে আগেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা নাঈমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর গলা, হাতসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।

ওসি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা কেন, কী কারণে নাঈমকে হত্যা করেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাঈমের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।