বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের রিমান্ড

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন তিন আসামির প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে রিমান্ড শুনানির জন্য তিন আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়। গত শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান তিনজনের প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।

এই তিন আসামি হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গার আনিচুর রহমান (৩২), মো. হৃদয় আহম্মেদ (২০) ও চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. সবুজ হোসেন (২০)। আনিচুর কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তবে ঘটনার পর তাঁকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের কপি পাওয়ার পর আসামিদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙচুরে অংশ নেন। কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।