বাঘায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওই নেতার নাম রিবন আহম্মেদ ওরফে বাপ্পি (২৮)। তিনি বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। তবে ওই মামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে এলাকায় মানববন্ধন হয়েছে।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, রিবন আহম্মেদ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে ওই তরুণী ছাত্রলীগের নেতাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রবিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে আমি মেয়র প্রার্থী। এ কারণে একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছেন ছাত্রলীগ ও পৌর এলাকার স্থানীয় লোকজন।

মানববন্ধন শেষে আড়ানি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নাঈমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর এলাকার প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা কার্যালয়সংলগ্ন মাজার এলাকায় এসে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রিবন আহম্মেদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওই মহল ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক কলেজছাত্রীকে দিয়ে ওই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা।