বাঘার দুর্গম চরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, চারজন গুলিবিদ্ধ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরে দুপক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি তিনজন বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার চৌমাদিয়ার চরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চরের মজনু দরজির (৩০) আত্মীয়স্বজন আহত হয়েছেন। আবদুর রশিদের পক্ষের লোকজন তাঁদের ওপরে হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবদুর রশিদের পক্ষের কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হচ্ছেন মজনু দরজির মা মরিয়ম বেগম (৪৫), চাচা দুলাল হোসেন (৩০) ও আবদুর রাজ্জাক (৩০) এবং চাচাতো ভাই লিটন ঢালী (২০)। আহত মরিয়মকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও অন্যদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে লিটন ঢালী পেটে, রাজ্জাকের বুকের পাশে, মরিয়মের পায়ে ও দুলালের বুকের পাশে গুলি লেগেছে। রাতে তাঁদের অস্ত্রোপচার করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া মজনুর আত্মীয় ইব্রাহিম হোসেন (২৮), ইয়াদ দরজি (৪০) ও ইদ্রিস আলীকে (৩০) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন মজনু দরজির চাচা শেখ সাদী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সকালে মজনু দরজি ও তাঁর স্ত্রী কলাবাগানে কাজ করতে যান। দুপুরের দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের আবদুর রশিদের লোকজন তাঁদের মারধর করেন। এ খবর পেয়ে দুই পক্ষের লোকজন গেলে তাঁদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ পিস্তল দিয়ে গুলি করতে শুরু করলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে আসেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বাঘার চৌমাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজনু দরজি ও আবদুর রশিদের ভাই দিদার ব্যাপারীর পাশাপাশি জমি আছে। মজনুর জমিতে কলাবাগান রয়েছে। আর দিদারের জমিতে আছে গম। কয়েক দিন আগে মজনু দরজি আগুন দিয়ে কলাবাগানের ভেতরে থাকা ঘাস পুড়িয়ে বাগান পরিষ্কার করছিলেন। তখন দিদারের গমখেতে আগুন ধরে যায়। এ নিয়ে সেদিন তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গত শুক্রবার দৌলতপুরের বাংলাবাজার মোড়ে তাঁদের আবারও মারামারি হয়। পরে বিষয়টি সেখানেই স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে উত্তেজনা ছিলই। রোববার দুপুরে এ ঘটনার জের ধরে তাঁরা চৌমাদিয়া গ্রামেই সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ওসি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।