বাজারে গিজগিজ করছে মানুষ, দোকানের অর্ধেক ঝাঁপ খোলা

সৈয়দপুরে লকডাউনের বালাই নেই। দোকানপাট খোলা আর দেদারসে চলছে যানবাহন। ছবিটি আজ সোমবার দুপুরে শহীদ. ডা. জিকরুল হক সড়ক (পাঁচমাথা মোড়) থেকে তোলাপ্রথম আলো

সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও দোকানে অর্ধেক ঝাঁপ খোলা রেখে দিব্যি চলছে ব্যবসা। বাজারে গিজগিজ করছে মানুষ। চলছে যানবাহনও। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই কোনোখানে। এই পরিস্থিতি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে। আজ সোমবার লকডাউনের প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকানকে জরিমানা করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ।

সরেজমিনে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ জহরুল হক সড়ক, শহীদ শামসুল হক সড়ক, শের-এ-বাংলা সড়ক, শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়কে ব্যাপক যানবাহন চলাচল চোখে পড়ে। যেন পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু সড়কে গেলে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা। বাইরে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে চলছে বেচাকেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্যবসা না করলে আমরা খাব কী? হঠাৎ করে লকডাউন দেওয়া হলো, অথচ আমরা কী করে চলব, সে নির্দেশনা সরকার দেয়নি।’

সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। আমরা প্রয়োজনে আরও কঠোর হব।
মো. নাসিম আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)

মাঝেমধ্যে ইউএনও সৈয়দপুর থানা-পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝটপট ঝাঁপ বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছেন দোকানিরা। এ পরিস্থিতিতে শহরের ৫টি দোকানকে জরিমানা করা হয়। ইউএনও নিজেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

এ নিয়ে কথা হলে ইউএনও মো. নাসিম আহমেদ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। আমরা প্রয়োজনে আরও কঠোর হব।’

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাশার জানান, সৈয়দপুরে করোনা পরিস্থিতি ভীতিকর হয়ে উঠছে। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন। উপজেলায় এযাবৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ জন। গতকাল রোববার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৮৫০ জন।