বাজারের অর্ধেক ইলিশই ডিমওয়ালা, দাম নাগালে

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ উঠেছে বেশি। সদর মাছবাজারে গতকাল সকালে
প্রথম আলো

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মাছবাজারগুলোয় ১০ দিন ধরে যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলোর অর্ধেকই ডিমওয়ালা। স্বাদ কম হওয়ায় এসব ডিমওয়ালা ইলিশ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ এলেও, ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষকেরা।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টার পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর, আমিরাবাদ, সুজাতপুর, এনায়েতনগর ও গজরা এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, বরদিয়া আড়ং, মুন্সীরহাট ও নারায়ণপুর মাছবাজার ঘুরে দেখেন এ প্রতিবেদক। বাজারগুলোতে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেগুলোর একটা বড় অংশ ডিমওয়ালা। ডিমওয়ালা মাছের দাম তুলনামূলক কম। তবে অধিকাংশ ক্রেতা ডিম ছাড়া ইলিশ খুঁজছেন। সেগুলো দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।

উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারের মাছবিক্রেতা প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, এক কেজি ওজনের ডিমওয়ালা ইলিশ ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় ও ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম ছাড়া ইলিশের দাম ওজনভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি।

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক আনিসুর রহমান বলেন, এবার জেলায় পৌনে ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে সারা বছর ইলিশ কমবেশি ডিম ছাড়ে। বেশি ডিম ছাড়ে প্রজনন সময়ে, অর্থাৎ অক্টোবর মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে। তাই এখন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ আসায় উদ্বেগের কিছু নেই।