বাড়ির ছাদে নৌকা, কাউন্সিলর প্রার্থীকে অর্থদণ্ড

স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে বাড়ির ছাদে কাঠের তৈরি নৌকা রাখায় আবদুল জলিল শিকদারকে দণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে
প্রথম আলো

পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে তাঁর প্রতীক নৌকা নয়। এরপরও তাঁর বাড়ির ছাদে কাঠের তৈরি নৌকা রাখায় মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল জলিল শিকদারকে (টেবিল ল্যাম্প প্রতীক) দণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল জলিল শিকদারকে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।

নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, নিজের প্রতীক ছাড়া অন্য প্রার্থীর প্রতীক নৌকা রেখে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন ওই কাউন্সিলর প্রার্থী। এ জন্য তাঁকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বাড়ির ছাদে কাঠের তৈরি নৌকা রাখায় মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল জলিল শিকদারকে (টেবিল ল্যাম্প প্রতীক) দণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল জলিল শিকদার বলেন, তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। দলের কাছে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলেও টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের পূর্বে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে মিছিল করে সমাবেশে যোগ দেন। ওই সময় তিনি নৌকাটি বানিয়ে ছিলেন। পরে সেটি বাড়ির ছাদে রেখে দেন।

আবদুল জলিল আরও বলেন, দলসমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বহিষ্কার হলেও তাঁর পরিবারের অনেকে আওয়ামী লীগের পদে রয়েছেন। তাঁরা এখনো আওয়ামী লীগ করেন। তাহলে বাড়ির ছাদে নৌকা রাখা কেন অপরাধ হবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।