বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনী অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম
ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার তৈরি দুইটি সাব–মেশিনগান (এসএমজি), গুলি, মাদকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলি হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

অভিযান পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা সদর ইউনিয়নের মিনঝিরিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারী দলটি আস্তানার কাছাকাছি গেলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনীও সমন্বিতভাবে পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ২টি রাশিয়ার তৈরি এসএমজি, ৩টি ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড এসএমজি গুলি, পিস্তলের ৩টি গুলি, ১টি ছুরি, ১০০ গ্রাম গাঁজা, ১০০ গ্রাম আফিম, ৭৫০ গ্রাম স্থানীয় মদ, ১টি সোলার চার্জার, ১টি ব্যাগ, ১টি সেট ইউনিফরম ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। মিনঝিরিপাড়া এলাকার সন্ত্রাসীদের ওই গোপন আস্তানা রুমা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ে।

গোপন আস্তানায় চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর আক্রমণে তাঁরা অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ফেলে পালিয়ে গেছে। এ জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
লে. কর্নেল জোবায়ের শফিক, সেনাবাহিনীর রুমা জোনের অধিনায়ক

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে সন্ত্রাসী দলটি অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার, দরিদ্র এলাকাবাসীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।

মিনঝিরিপাড়ার বাসিন্দা মং চ নু মারমা জানিয়েছেন, ভোর রাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে পাড়া থেকে আড়াই-তিন কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। পাড়া থেকে দূরে হওয়ায় সেখানে কার সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে, তা তাঁরা জানতে পারেননি।

সেনাবাহিনীর রুমা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল জোবায়ের শফিক অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন আস্তানায় চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর আক্রমণে তাঁরা অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ফেলে পালিয়ে গেছে। এ জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সন্ত্রাসী দলটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।