বাবার পর ভেসে উঠল ছয় মাসের ছেলের লাশ

শুক্রবার বিকেলে পুলিশের কনস্টেবল বাবা আবু মুসা রেজওয়ানের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল ছয় মাসের আনাস। তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়।

বাবা আবু মুসা রেজওয়ান ও ছেলে আনাসের এই ছবি এখন পরিবারের কাছে শুধুই স্মৃতির স্মারক।
সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতী নদীতে ডুবে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু আনাসের লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়ার ৯০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চরভাটপাড়া এলাকার নদীতে শিশুটির লাশ ভেসে ওঠে। দুপুর তিনটার দিকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

গত রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহিষাপাড়া এলাকায় নদীতে পাওয়া যায় শিশুটির বাবা পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ানের (২৮) লাশ। শুক্রবার বিকেলে আবু মুসা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ট্রলারে করে কালনাঘাট এলাকায় নদীতে ঘুরতে যান। ট্রলারে মুসা, তাঁর স্ত্রী সাদিয়া ও ছয় মাস বয়সী ছেলে আনাসসহ আটজন ছিলেন। ঘাটের দিকে ফিরে আসার সময় নির্মাণাধীন কালনা সেতু এলাকায় ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। স্রোতের ধাক্কায় কোলে থাকা শিশুসহ মুসা ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে যান। এর পর থেকে বাবা-ছেলে নিখোঁজ ছিলেন।
আবু মুসা পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ডুবে যাওয়ার ৩৮ ঘণ্টা পর রোববার সকালে আবু মুসার মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নদীতে ভেসে ওঠে। ৯০ ঘণ্টা পর ছয় কিলোমিটার দূরে ভেসে উঠে তাঁর ছয় মাস বয়সী ছেলের লাশ। বেলা তিনটার দিকে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আবু মুসার চাচাতো ভাই মো. মিনারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটির লাশ আমরা পুলিশের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি। তার বাবার পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’