বাবার পাশেই কামাল ইবনে ইউসুফকে দাফন

বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজা শুক্রবার ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাঁকে তাঁর বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়
প্রথম আলো

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে ফরিদপুরে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কমলাপুরের ময়েজ মঞ্জিলে বাবা চৌধুরী ইউসুফ আলী মোহন মিয়ার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

শেষবারের মতো কামাল ইবনে ইউসুফকে শ্রদ্ধা জানাতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এর আগে বেলা তিনটায় শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ময়দানে তাঁর জানাজা হয়। জানাজায় ওই মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।

জানাজার আগে পরিবারের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, শরীয়তপুরের বাহাদুরপুর দরবার শরিফের প্রতিনিধি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হানজেলা, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।

জানাজার আগে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মোদাররেস আলী, অধ্যাপক এ বি এম সাত্তার, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুত তাওয়াব ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া।

বক্তারা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তিনি ছিলেন প্রকৃতই একজন সজ্জন। তাঁর প্রতিপক্ষ বা রাজনৈতিকবিরোধীদের বিরুদ্ধেও তিনি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেন না। রাজনীতি করে নিজের জন্য কিছু করেননি। তিনি আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক ও সৎরাজনীতিবীদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।

৯ ডিসেম্বর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্ট থাকার পর তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আরও পড়ুন