বাবার মৃত্যুতে অঝোরে কান্না, আট ঘণ্টা পর মেয়েরও মৃত্যু
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন মো. চন্দন খান (৬০)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুতে বিরামহীন কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে মিতু সুলতানা (২০)। আট ঘণ্টার ব্যবধানে বিকেল চারটার দিকে মারা গেলেন মিতুও।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মিতু নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাবা–মেয়ের মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মিতু সুলতানার চাচাতো ভাই আকিকুল ইসলাম খান (২৪) বলেন, চন্দন খান দীর্ঘদিন রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুতে বাড়ির সবাই ছিলেন শোকে বিহ্বল। মিতু তাঁর অন্য দুই বোনের সঙ্গে বসতঘরের একটি খাটে বসে কাঁদছিলেন। কিছুতেই তাঁর কান্না থামানো যাচ্ছিল না। বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে খাট থেকে পড়ে যান। বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বিকেল চারটার দিকে নেত্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সাহতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পল্টন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। বাবার মৃত্যুশোক সইতে না পেরে মেয়েটি মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।