বালিয়াকান্দিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে হামলায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত

হত্যা
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে হামলায় এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম সৈকত মাতুব্বর (২১)। তিনি বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা সুশান্ত মাতুব্বর গ্রামপুলিশ সদস্য। হামলায় সৈকতের চাচা প্রফুল্ল মাতুব্বর ও চাচার স্ত্রী শান্তি লতা মাতুব্বরও আহত হয়েছেন।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে সৈকতদের সঙ্গে তাঁর চাচা শশা মাতুব্বরদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। সৈকতের পরিবারের সদস্যরা শশা মাতুব্বরদের জমির ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। কয়েক দিন আগে শশা মাতুব্বররা পাটকাঠির বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ আটকে দেন। গতকাল বুধবার খেত থেকে তুলে আনার পর বেড়ার পাশে বসে সৈকতের পরিবারের সদস্যরা পেঁয়াজ কাটছিল। এ সময় পেঁয়াজের উচ্ছিষ্ট বেড়ার পাশে ফেলা হয়। এতে সেখানে স্তূপ তৈরি হয়। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সৈকতের মাথায় লাঙল দিয়ে আঘাতের পর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় সৈকতের চাচা প্রফুল্ল ও চাচি শান্তিলতাও আহত হন।

কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সৈকতের মাথায় লাঙল দিয়ে আঘাতের পর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় সৈকতের চাচা প্রফুল্ল ও চাচি শান্তিলতাও আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে সৈকতের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। আজ ভোরে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। বেলা ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে শশা মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা পলাতক।

নিহত শিক্ষার্থীর বাবা সুশান্ত মাতুব্বর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার তিন সন্তান। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছিলাম। আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক। নিহত শিক্ষার্থীর বাবা থানা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।