বাল্কহেডের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন পাঁচ শতাধিক যাত্রী

চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী দোতলা লঞ্চের ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চটির তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করলে যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় লঞ্চের চালক দ্রুত লঞ্চটি মাঝনদী থেকে চরে ভেড়ান। এর ফলে অল্পের জন্য রক্ষা পান লঞ্চটির পাঁচ শতাধিক যাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও লঞ্চটির যাত্রী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিলাসবহুল ‘কুয়াকাটা-১’ নামের দোতলা লঞ্চটি পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ঢাকা সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যায়। রাত ১০টার দিকে লঞ্চটির চাঁদপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি বালুভর্তি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন। লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতি চালক লঞ্চটির গতি পরিবর্তন করে মাঝনদী থেকে দ্রুত তীরের পাশে চরে ভেড়ান। পরে যাত্রীরা নিরাপদে তীরে নেমে এসে পড়ে রক্ষা পান।

লঞ্চের যাত্রী পটুয়াখালীর গলাচিপার আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চালক বুদ্ধি খাটিয়ে যাত্রীসহ লঞ্চটি নদীর চরে উঠিয়ে দেন। পরে তাঁরা নিরাপদে তীরে আসেন।

পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর লঞ্চটি চাঁদপুরের আমিরাবাদ এলাকার চরে ভিড়িয়ে যাত্রীদের নিরাপদে তীরে নামিয়ে আনা হয়। পরে আজ সকালে কুয়াকাটা-১ লঞ্চের যাত্রীদের ‘মর্নিংসান-৫’ নামের অপর একটি লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। বিকেল নাগাদ লঞ্চটি পটুয়াখালীর ঘাটে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।