বাল্যবিবাহের কনেকে থাকতে হবে বাবার বাড়িতেই

মেয়ের বাল্যবিবাহ–পরবর্তী প্রীতিভোজ ছিল আজ বৃহস্পতিবার। আসবেন অতিথিরা। এর আগেই হাজির হন ম্যাজিস্ট্রেট। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেয়ের অভিভাবককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। একই সঙ্গে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হবে না, অভিভাবকদের কাছ থেকে এমন মুচলেকা আদায় করা হয়।

আজ বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান এ আদালত পরিচালনা করেন।

আশিক খান বলেন, উপজেলার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে মাসখানেক আগে আবদুল করিম (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। আজ মেয়েকে তুলে নেওয়া উপলক্ষে কনের বাড়িতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। লোক মারফত খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে বরসহ বরযাত্রী আর আসেনি।

এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীর সঙ্গে ১৪ বছরের কিশোরের বউভাত অনুষ্ঠানে পুলিশ নিয়ে হানা দিয়ে আটক করা হয় বর-কনেসহ উভয় পক্ষের দুজন অভিভাবককে।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজন অভিভাবককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকে এক মাসের জন্য যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে এবং কিশোরীকে রাজশাহীতে সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

এতেও নেতৃত্ব দেন শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান।