বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার তালায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বিয়ের হাত থেকে থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে দিকে তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তর ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খলিশখালি ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে—গোপন সংবাদের মাধ্যমে আজ সকালে এমন সংবাদ পান তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ইউএনও মো. তারিফ-উল-হাসানকে জানান। এরপর ইউএনও তাঁর দপ্তরের অফিস সহকারী আসাদুজ্জামানকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। বেলা দেড়টার দিকে আসাদুজ্জামান তালা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী শাহিন আলম, খলিশখালি ইউনিয়নের সচিব শহীদুল ইসলাম ও দফাদার শের আলীকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা ছাত্রীর জন্মসনদ দেখতে চান। জন্মসনদ অনুযায়ী তাঁরা দেখতে পান ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর।

আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে দিকে তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।

এ কথা তাঁরা ইউএনওকে জানালে ইউএনও বিয়েটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। অভিযানে যাওয়া ব্যক্তিরা ইউএনওর নির্দেশনা জানিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। এরপর তাঁরা ছাত্রীর বাবাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করেন এবং তাঁর মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা আদায় করেন। পরে একই এলাকায় বরের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সতর্ক করে আসেন এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে কোনো মেয়েকে বিয়ে করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।