মোটরসাইকেল ঢুকে যায় বাসের নিচে, নিহত ৩ যুবক

ফয়সাল সরদার, আল-আমিন ঠাকুর ও লিয়াকত শেখ
সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী নৈশ কোচের চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপাগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন মুকসুদপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল ঠাকুরের ছেলে ও মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল-আমিন ঠাকুর (২২), চন্ডিবর্দি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (৩০) ও একই গ্রামের সুফি শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ (৩২)।

দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে
সংগৃহীত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক মুকসুদপুর থেকে মুকসুদপুর ফিলিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইনের যাত্রীবাহী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং তিন যুবকও বাসের নিচের অংশে আটকে যায়। বাসটি প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গেলে আটকে থাকা তিন যুবক ছিটকে পড়েন এবং আটকে থাকা বিধ্বস্ত মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাসে। তৎক্ষণাৎ যাত্রীরা বাস থেকে নেমে রক্ষা পান। তবে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেল আরোহী আল আমিন ঠাকুর। গুরুতর আহত অবস্থায় মুকসুদপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান ফয়সাল সরদার। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নেওয়ার পথে মারা যান লিয়াকত শেখ। এদিকে বাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, এ ঘটনায় বাসের কোনো যাত্রী হতাহত হননি। আর নিহত মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের লাশ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।