বাড়ি ঘেঁষে চালকল, তিন বছরেও প্রতিকার মেলেনি

চালকলের চাতালে চলে ধান শুকানোর কাজ। সম্প্রতি আদমদীঘির সান্তাহারেপ্রথম আলো

নিরাপদ পরিবেশে বসবাসের দাবি নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে চলেছেন বগুড়ার সবজি ব্যবসায়ী মখলেসার রহমান। একটি অবৈধ চালকল বন্ধ ও চাতাল সরিয়ে নেওয়ার আবেদন নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।

মখলেসারের বাড়ি জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের বশিপুর গ্রামে। মখলেসারের বাড়ি ঘেঁষে চালকল গড়ে তুলেছেন পৌওতা গ্রামের আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি। পরিবেশ অধিদপ্তর চালকলসহ চাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তা না মেনে এখনো চালকলটি চালু আছে।

মুঠোফোনে চালকলমালিক আবদুল হামিদের ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেন, চালকলের বেশির ভাগ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পুরো চালকলের কার্যক্রম চালু করা হবে।

চালকলের বিকট শব্দ ও চাতালের ধোঁয়ার পরিবেশে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা দায় হয়েছে বলে অভিযোগ মখলেসারের। তাঁর মতো সান্তাহার শহরের আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ২০টি পরিবার এর ভুক্তভোগী। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি, মে ও আগস্ট মাসেও আবেদন করেন। কিন্তু কাজ হয়নি।

আদমদীঘির বর্তমান ইউএনও শ্রাবণী রায় বলেন, এ বিষয়ে মখলেসার রহমানকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।