বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইউএনওকে স্কুলছাত্রীর ফোন...

বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি

ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা চলছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৬)। উপায় না পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আশ্রয় নেয় বান্ধবীর বাড়িতে। এরপর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে। ঘটনা শুনে মেয়েটিকে নিয়ে বাড়িতে হাজির হন ইউএনও। বাবা–মায়ের থেকে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার মুচলেকা নিয়ে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেন বাড়িতে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গত শুক্রবার রাতে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করেন মা–বাবা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ওই বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেতে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে সহযোগিতা চায়। এরপর রোববার সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে তাকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও নিজ গাড়িতে করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তার বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।

ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, রাতে খবর পাওয়ার পরপরই তিনি ওই স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। রোববার সকালে ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বাবা–মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কাছে দিয়ে এসেছেন। মা–বাবা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না।