বাড়িতে ঢুকে পাটকলশ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা

মো. রবিউল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পৌর এলাকায় বাড়িতে ঢুকে মো. রবিউল্লাহ (৪৫) নামের এক পাটকলশ্রমিককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পৌর শহরের কামারগাঁও এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মো. রবিউল্লাহ নরসিংদী পৌর এলাকার কামারগাঁও এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে। তিনি  ইউএমসি জুট মিলের একজন স্থায়ী শ্রমিক ছিলেন। পাটকলটি বর্তমানে বন্ধ।

স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, মো. রবিউল্লাহর ছোট ছেলে একটি টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক। তাঁর নাম সজীব (২০)। তিনি আজ বিকেলে স্থানীয় একটি মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যান। খেলার সময় বিকেল পাঁচটার দিকে রোহান (২০) নামের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। উপস্থিত লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দুজনকে মিলিয়ে দেন। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সজীব বাড়িতে এসে কাজে চলে যান। কিন্তু সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রোহান একটি চাপাতি নিয়ে উত্তেজিত অবস্থায় সজীবদের বাড়িতে আসেন। এ সময় সজীবকে না পেয়ে তিনি তাঁর বাবা রবিউল্লাহর ঘাড়ে ও কপালে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে চলে যান। এতে রবিউল্লাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে রওনা হলে পথেই তিনি মারা যান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আবদুল বাকীর বলেন, ‘আমরা রবিউল্লাহকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর ঘাড়ের বাঁ পাশে বড় আঘাতসহ কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই রবিউল্লাহ মারা গেছেন।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জায়েদুল মিয়া বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি আমার ফুফা মো. রবিউল্লাহর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। তখন হঠাৎ করেই হাতে চাপাতি নিয়ে বাড়িতে ঢুকে রোহান আমার ফুফার কাছে সজীব কোথায় তা জানতে চান। এ সময় রবিউল্লাহ তাঁকে জানান সজীব কাজে চলে গেছেন। এরপর কোনো কথা না বলেই রোহান আমার ফুফার ঘাড়ে ও কপালে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। পরে তিনি (রবিউল্লাহ) মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রোহান পালিয়ে যান। এমন ঘটনায় আমি ওই সময় হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। যখন রোহান এ ঘটনা ঘটান, তখন তাঁর কয়েকজন বন্ধু বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন।’

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, ফুটবল খেলায় কথা–কাটাকাটির জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে গিয়ে রবিউল্লাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তরুণকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।