বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় বাবা নিহত, ছেলে আহত

শেরপুরের সদর উপজেলার হাওড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মোশারফ হোসেন। শুক্রবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত ও তাঁর ছেলেসহ দুজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার হাওড়া নিজ গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. নাজির আলী ওরফে বদন (৬০)। আহত দুজন হলেন নাজির আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) ও আল আমিনের ছেলে মনির হোসেন (২৫)। তাঁদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া নিজ গ্রামে। আহত মোশারফ ও মনিরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে সদর উপজেলার হাওড়া নিজ গ্রামের নাজির আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী জমসেদ আলীর বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিরোধপূর্ণ সীমানায় গোবর ফেলা নিয়ে জমসেদের ছেলে তোরমান আলীর সঙ্গে নাজির আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে জমসেদ আলীর নেতৃত্বে তাঁর ছেলে তোরমান আলী, লোকমান, হুরমান, হিরনসহ ১০-১২ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নাজির আলীর ওপর হামলা চালায়। এতে নাজির আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ সময় বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নাজিরের ছেলে মোশারফ হোসেন ও প্রতিবেশী মনির হোসেন গুরুতর আহত হন। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে জমসেদ আলীসহ ৯ জনকে আটক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহাম্মদ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।