বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেও কর্মী হিসেবে রাজনীতি করে যাব: তৈমুর

তৈমুর আলম খন্দকার

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেও দলের সমর্থক হিসেবে রাজনীতি করে যাবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরের দিন আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মাসদাইরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তৈমুর বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবে রাজনীতি করে যাব। আমি দলের কর্মী–সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাব।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘২০১১ সালের নির্বাচনে বিএনপি আমাকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দিল। আর কুমিল্লার সাক্কুকে নির্বাচন করতে না করল। তারপরও সে করল। আর এখন দল নির্বাচনে যাবে না, তারপরও আমাকে বহিষ্কার করা হলো। এটাই যদি দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতি হয়ে থাকে, তাহলে এটাই মেনে নিতে হবে।’

নির্বাচন করায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারানো তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘দল আমার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি সে ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করব না। কারণ, আমি দলের প্রতি অনুগত। এখন আমার দায়িত্ব হলো দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জনমত গড়ে তোলা, ডাকাতির বাক্স ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। আমি সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, এই ইভিএমে মাধ্যমে হওয়া কোনো নির্বাচনে যেন তারা অংশ না নেয়।’

তৈমুর বলেন, ‘আমি তো দল পরিবর্তন করব না। তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করব। বিএনপি যেটা ভালো মনে করেছে, সেটা করেছে। দল যেহেতু আমাকে আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে মুক্তি দিয়েছে, তাই আমার হাতের সামনে যে দুইটা কাজ, সেগুলো করব। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করব। আমি বিএনপির সমৃদ্ধি কামনা করি। তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আগমন কামনা করি।’

তৈমুর বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যা হওয়া হইছে; কিন্তু নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের সঙ্গে যা হইছে, তা ঠিক হয় নাই। কারণ, এমন একটা ত্যাগী কামাল তৈরি হবে না।’ প্রসঙ্গত, এ টি এম কামাল তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। তৈমুরের সঙ্গে তাঁকেও বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার এখন একটাই চিন্তা, নির্বাচনের সময় আমার যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করা। তারা ছাড়া পেলে আমার চিন্তা শেষ।’