বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরে মামলা

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরে মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে জঘন্য, নোংরা, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মানহানি ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিনষ্ট করার ধারায় মামলাটি করা হয়।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম আজ দুপুরে মামলা আমলে নিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজ ‘বাংলাদেশ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন। তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে জঘন্য, নোংরা, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বিএনপির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মানহানি ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিনষ্টের অভিযোগে এনে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে মামলার আবেদন করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন সফল প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন যে কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা মন্তব্য করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য ও ফৌজদারি অপরাধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে এমন অশালীন বক্তব্য আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ব্যথিত ও সংক্ষুব্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর মানহানির আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তারপরও আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে মোয়াজ্জেম হোসেনের বক্তব্যে পাঁচ কোটি টাকার সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছি।’

শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজকোর্টের আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক। কিন্তু আদালত আসামিকে হাজির হওয়ার সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।’