বিএনপি নেতার নির্দেশে ৩০০ টাকা ভাড়ায় পিকেটিং

আদালত
প্রতীকী ছবি

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এক তরুণ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ওই তরুণ দাবি করেছেন, স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নির্দেশে ৩০০ টাকা ভাড়ায় তিনি পিকেটিং করতে এসেছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে জবানবন্দি দেন রাকিব হোসেন (১৮) নামের ওই তরুণ। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। আদালত পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।

হেফাজতে ইসলামের হরতালের সময় নারায়ণগঞ্জে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশেই সেদিন তাঁরা সহিংসতা ও নাশকতা করেছেন।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, বিকেলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রাকিব হোসেন নাশকতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সাওঘাট এলাকায় ভাঙচুর ও নাশকতা চালাতে ৩০০ টাকায় তাঁকে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ভাড়া করেন। তাঁর নির্দেশ মোতাবেক এই এলাকায় পিকেটিং চলে। এ ছাড়া ভাঙচুর ও নাশকতায় আরও ২৫–৩০ জন ছিলেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন রাকিব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ২৮ মার্চ ভুলতা এলাকা থেকে রূপগঞ্জ মুড়াপাড়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়া, যুবদলের নেতা বাবু ভূঁইয়া, মিলন মিয়া, রাকিব হোসেনসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে রাকিবকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার আসামি রাকিব হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে নারায়ণগঞ্জে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, রাকিব হোসেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই–বাছাই করে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।