বিএনপিকে জড়ানোর প্রতিবাদে মেয়র অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। কুমিল্লা বিএনপির এই অংশের নেতা-কর্মীরা সিটি মেয়র মনিরুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি মনে করে, সামনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র মো. মনিরুল হকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। মেয়র ও বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এ চক্রান্ত করে। ১৩ অক্টোবর নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার পর সবার আগে ওই এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র মনিরুল হক ঘটনাস্থলে যান। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।

সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর নিয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক এবং মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। তাঁরা ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ চৌধুরী ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, কুমিল্লা শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল কবীর প্রমুখ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপিতে দুটি ধারা আছে। এক পক্ষে সিটি মেয়র ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক। আরেক পক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ।

উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরের নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে চারটি মন্দির ও সাতটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়। এতে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের কর্মী ও জামায়াতের তিন কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়।