বিএনপির আমলে গণতন্ত্র ছিল না, ছিল বন্দুকতন্ত্র: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে কোনো গণতন্ত্র ছিল না, ছিল বন্দুকতন্ত্র। তখন কোনো ভদ্রলোক কথা বলতে পারতেন না। প্রকাশ্যে দিনদুপুরে খুন হতো। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার। গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রচর্চা করে, রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আনিসুল হক। আজ সোমবার বিকেলে কসবা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। খালেদা জিয়া ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সেখান থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যার পর উন্নয়নের ধারা শেষ হয়ে যায়। স্বৈরাচারী সরকারগুলো দেশকে ভিক্ষুকের দেশ, স্বৈরতন্ত্রের দেশ, আইনের শাসনবিহীন দেশে পরিণত করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম জি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া, যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।