বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম। আজ সকালে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও মাঠছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রানীনগর উপজেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার বিএনপির প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন।

বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন, সদস্য মামুনুর রহমান প্রমুখ।

আগামী ১৭ অক্টোবর এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতীক নির্ধারণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল ইসলাম বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে রানীনগর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বর্ধিত সভা ছিল। সে সভায় আগত বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, বিএনপির নেতা শেখ মনোয়ার হোসেনসহ ১০-১২ নেতা-কর্মী আহত হন।

রেজা্উল আরও বলেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে প্রতিনিয়ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই হামলা ও হুমকি বন্ধ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।

বিএনপির নেতা–কর্মীরা মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় দুপক্ষের হাতাহাতি হয়েছে।
জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, রানীনগর উপজেলা যুবলীগ

সংবাদ সম্মেলনে শেখ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে আমরা নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মিসভা করে যাচ্ছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। মাঠছাড়া করতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমার কর্মীদের সব সময় শান্ত থাকতে বলেছি। তারপরও বৃহস্পতিবার রানীনগর উপজেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নগ্ন হামলা চালানো হয়। হামলা ও হুমকির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় দুপক্ষের হাতাহাতি হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনী কাজ করছে। ঢালাওভাবে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ করলে তো হবে না। বিএনপির প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন। বিএনপি অহেতুক এ অভিযোগ করছে।

গত ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগের তিনবারের সাংসদ ইসরাফিল আলমের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হয়। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতীক নির্ধারণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হবে।

উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রার্থীসহ চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির কাজী গোলাম কবির ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইন্তেখাব আলম।