বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দু–এক মাসের মধ্যে সংলাপ হতে পারে

সাভারে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে দু–এক মাসের মধ্যে সংলাপে ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সাভার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে আজ শুক্রবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সিইসির কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপির কাছে আস্থা অর্জনের জন্য ইসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না। জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত নেব—কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করব, তাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করব। অচিরেই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আমাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাব।’ কবে নাগাদ এটি হতে পারে, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, এটা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। হয়তো দু–এক মাসের মধ্যে হতে পারে।

সাভার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে সকাল ১০টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় নিজে একজনের ভোটার তথ্য হালনাগাদের তথ্য পূরণ করেন তিনি।

এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি আমার সহকর্মীদের বলেছিলাম, আমাকে যদি নিউজিল্যান্ড বা বিলেতে কোথাও নির্বাচন কমিশনার করে দেওয়া হতো, তাহলে আমি চেয়ারে বসে চা খেতে খেতে নির্বাচনটা শেষ করে দিতে পারতাম। আমার কোন স্ট্রেস হতো না। আমার প্রেশার বাড়ত না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এখানে কিন্তু আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন লাগবে। ভোটের মধ্যে সহিংসতা আমাদের নির্বাচনের সংকট নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক সংকট। আমাদের সংস্কৃতিটা কীভাবে যেন গড়ে উঠেছে, ভোটের মাঠে আমাদের সহিংসতা করতেই হবে। এই জিনিসটা আমাদের বেদনাহত করে। এই চর্চা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ডিআইজি জিহাদুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মুঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।