বিকাশের ২১ লাখ টাকা নিয়ে উধাও বিজিবি সদস্য

প্রতীকী ছবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হবিগঞ্জ-৫৫ ব্যাটালিয়নের সদস্য বরুণ বিকাশ চাকমা প্রায় ২১ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি খাগড়াছড়ির মহালছড়ির দুরপর্য্যানাল এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্য মোমিনুল বাদী হয়ে গত রোববার হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি সদস্য বরুণ ক্যানটিনের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের এজেন্ট করা হয়। বিজিবি সদস্যরা মাস শেষে বেতনের টাকা বিকাশে পরিবারের কাছে পাঠাতেন। এ কারণে প্রতি মাসের প্রথম দিকে তিনি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে থাকতেন। এ সুবাদে স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেক সময় এজেন্ট নগদ টাকা ছাড়াই তাঁকে যখন যত প্রয়োজন, টাকা পাঠিয়ে দিতেন। এভাবে ৩ ও ৪ এপ্রিল তাঁকে ২১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। তিনি এ টাকা তাঁর বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রীসহ স্বজনদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়ে গত শনিবার থেকে উধাও হয়ে যান।

বিজিবি সদস্য বরুণকে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের এজেন্ট করা হয়। বিজিবি সদস্যরা মাস শেষে বেতনের টাকা বিকাশে পরিবারের কাছে পাঠাতেন। এ কারণে প্রতি মাসের প্রথম দিকে তিনি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে থাকতেন।

হবিগঞ্জ-৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি সদস্য বরুণ ক্যানটিনের বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিদিন তাঁর মাধ্যমে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লেনদেন হতো। এ কারণে বিকাশের স্থানীয় এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিজিবি থেকে বিকাশ এজেন্টকে বলা ছিল, তাঁরা যেন প্রতিদিন তিন লাখের বেশি লেনদেন না করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা বরুণকে বিশ্বাস করে এক দিনে ১৫ লাখ টাকাও লেনদেন করেছেন। সর্বশেষ লেনদেনের টাকা নিয়ে তিনি গত শনিবার থেকে উধাও হন।

বিকাশ এজেন্ট স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশনের মালিক সৈয়দ ইশতিয়াক হাসান বলেন, বিজিবির সদস্য বরুণ বিকাশ চাকমার সঙ্গে তাঁরা ছয় থেকে সাত মাস ধরে ব্যবসা ও লেনদেন করে আসছেন। এ বিশ্বাসে তাঁকে এক দিনে ২১ লাখ টাকা দেন। বিকেলে এ টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু দিন শেষে তিনি এ টাকা না দেওয়ায় তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে জানা যায়, তিনি ক্যাম্প থেকে উধাও। বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকাশের এজেন্টের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।