বিচারিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ওপর শুনানি ৩ মার্চ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘মৃত’ কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার প্রেক্ষাপটে বিচারিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ওপর আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৫ জানুয়ারি বিচারিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে ১৩ জানুয়ারি আদালত শুনানির জন্য ২০ জানুয়ারি দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। পরে সারওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয় সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। আদালত সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন রেখেছেন।

নারায়ণগঞ্জে মৃত কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধানে তদন্ত কর্মকর্তা (প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা) শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে আসামিদের মারধর, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৪ জুলাই এক কিশোরী (১৫) নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে থানায় প্রথমে জিডি ও পরে মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ আবদুল্লাহ, রকিব ও খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ‘স্বীকার করে’ গত ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেন।

তবে ‘অবিশ্বাস্যভাবে’ ঘটনার ৫১ দিন পর গত ২৩ আগস্ট ওই কিশোরী ফিরে আসে। পরে সে জানায়, এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার ভাড়া বাড়িতে সংসার করছে সে। আদালত পরে ওই কিশোরীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেন।

ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে কিশোরীর বাবার করা মামলার নথিপত্র তলব ও তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন (রিভিশন) করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সার্বিক বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।