বিজিবি দেখে পাঁচটি বস্তায় সোয়া ৩ লাখ ইয়াবা বড়ি ফেলে দৌড়

টেকনাফে পৃথক দুটি অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৩ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদরে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার থেকে পাচারকালে ইয়াবার দুটি বড় চালান জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পৃথক ২টি অভিযানে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার মূল্যমানের ৩ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

সোমবার দিনগত রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং ও দমদমিয়া ওমরখাল নামের এলাকা থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, উপজেলার হ্নীলা চৌকির ওয়াব্রাং–সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এমন সংবাদ পায় বিজিবি। এ খবরে হ্নীলা চৌকির একটি বিশেষ টহল দল ওই এলাকায় অবস্থান নেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দুজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা মাথায় করে ওয়াব্রাং চৌকির ৪০০ গজ উত্তরে এবং বিআরএম-১৩ থেকে ৮০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে আসতে দেখেন টহল দলের সদস্যরা।

এ সময় তাঁদের আটক করার জন্য সামনের দিকে অগ্রসর হলে তাঁরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে প্লাস্টিকের বস্তাটি ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঢুকে পালিয়ে যান। পরে বিজিবির সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া একটি বস্তার ভেতর থেকে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া ওমরখাল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এমন সংবাদ পায় বিজিবি। সংবাদের সূত্র ধরে দমদমিয়া চৌকির একটি বিশেষ টহল দল ওই স্থানে অবস্থান নেয়।

সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ‘নাইট ভিশন ডিভাইসের’ মাধ্যমে তিন ব্যক্তিকে ওমরখালে বিআরএম-৯ থেকে ৪০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে প্লাস্টিকের বস্তা মাথায় করে আসতে দেখতে পায় দলটি। টহল দল তাঁদের র ভেতর থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধাচ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা চারটি বস্তা ফেলে অন্ধকার ও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঢুকে পালিয়ে যান। পরে ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে চারটি বস্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, পৃথক দুটি অভিযানে উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সামনে এসব ইয়াবা ধ্বংস করা হবে।