আড়াই কেজি স্বর্ণ ফেলে দৌড়

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বার
সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অভিযানে গিয়েছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একদল সদস্য। এ সময় বিলের মধ্যে প্লাস্টিকের বস্তাসহ এক ব্যক্তিকে দেখতে পান তাঁরা। বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি বস্তা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বস্তার ভেতর থেকে আটটি সোনার বার পাওয়া যায়। যার ওজন ২ কেজি ৪০০ গ্রাম (২০৫ ভরি ৭ গ্রাম)।

সোমবার বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজিবির ফুলবাড়ি সীমান্তচৌকির (বিওপি) সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। বিজিবি বলছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্তের ৮৬ নম্বর প্রধান খুঁটি থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চাকুলিয়া থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ২ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণের বাজারমূল্য ১ কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৩৭৫ টাকা। স্বর্ণের বারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছিল। রাতে এ খবর লেখার সময় স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গার ট্রেজারিতে জমাসহ দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বার
সংগৃহীত

সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফুলবাড়ি বিওপির সদস্যরা সোমবার বেলা ১১টার দিকে খবর পান চোরাকারবারীদের একটি দল স্বর্ণ পাচার করছে। এরপর পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ইমরান আলীর তত্ত্বাবধানে এবং ফুলবাড়ি বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল অভিযান চালায়। অভিযানকালে সীমান্তের ৮৬ নম্বর প্রধান খুঁটি থেকে এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে চাকুলিয়া বিলের মধ্যে এক ব্যক্তিকে প্লাস্টিকের বস্তাসহ দেখতে পায়। বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি বস্তা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বস্তার ভেতর তল্লাশি চালিয়ে আটটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, উদ্ধার হওয়া সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা হবে।