বিজয় স্তম্ভ না থাকায় শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি মানুষ

সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

যশোর জেলার মানচিত্র
প্রতীকী ছবি

যশোরের কেশবপুরে এবারও বিজয় দিবসে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেনি সর্বস্তরের মানুষ। সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

২০১০ সালে কেশবপুর শহরের পুরোনো সেতু এলাকায় খোজা খালের পাড়ে একাত্তরের স্মারক হিসেবে বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে শ্রদ্ধা জানাতো।

গত বছর নভেম্বরে ওই বিজয় স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের সম্প্রসারণের জন্য স্মৃতি স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের মাঠের শেষ প্রান্তে বিজয় স্তম্ভটি নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি।

এ বছর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সবাই আশা করেছিলেন, নতুন বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে। এ সম্পর্কে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিকী জানান, কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে বিজয় স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা চরম অন্যায় হয়েছে। পরে এটি নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হলেও আজও নির্মিত হয়নি। এটা আরও হতাশার।

এ ব্যাপারে কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন জানান, জেলা পরিষদ থেকে অর্থ বরাদ্দ করার কথা ছিল। এখনো অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় বিজয় স্তম্ভটি নির্মাণ করা যায়নি। এ বিষয়ে অচিরেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।