বিজয়নগরের দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে দুই আসামির জবানবন্দি

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গৃহবধূকে (৪৫) গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি। আজ সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুই আসামিই ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলো বিজয়নগরের গলিমোড়া গ্রামের আরশাদুল ইসলাম ওরফে সুরুজ মিয়া (১৭) এবং নিদারাবাদ গ্রামের মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালু (১৫)।

নিহত ওই গৃহবধূর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার একটি গ্রামে। গত শনিবার তাঁর ছেলে বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে নিহত নারীর ব্যবহৃত মুঠোফোন ও ৫০ হাজার টাকা হত্যাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই নারীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে তারা দুজন ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশা জালালাপুর গ্রামের আবিদ মিয়ার দিঘির পশ্চিম-দক্ষিণ কোনায় ঝোপের আড়ালে একটি শিমুলগাছের নিচে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় অর্ধনগ্ন ওই গৃহবধূর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পাশাপাশি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার সিলেটের জৈন্তাপুর থানার আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামের ফজর আলীর বাড়ি থেকে আরশাদুল ও তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুসারে সালাউদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তারা পুলিশের কাছে এবং আজ তাঁরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই নারীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে তারা দুজন ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেন।