সাতক্ষীরার আশাশুনি
বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী
আশাশুনির খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। কিন্তু এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৫ মাস আগে এ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয় চত্বরে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখেছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় দুই বছরের বেশি সময় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে একটি টিনের ঘরের মেঝেতে। এভাবে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় আশাশুনি উপজেলার খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার শ্যামনগরের শেখ এন্টারপ্রাইজ। ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকার এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো তা শেষ করা হয়নি।
আশাশুনি উপজেলার খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদি হাসান বলেন, তাঁদের বিদ্যালয় ভবনটি ২০১৫ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ভবনের মধ্যে পানি পড়ে বেঞ্চ ও চেয়ারসহ অন্যান্য আসবাব নষ্ট হতে থাকে। তারপরও তাঁরা সেখানে ক্লাস নিচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। তারপর তাঁরা নিজ উদ্যোগে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে ১৩০ জন ছাত্রছাত্রীর ক্লাস নিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়ে চেয়ার ও বেঞ্চ না থাকায় ক্লাস নিতে হয় মেঝেতে।
মেহেদি হাসান অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি পিলার নির্মাণের কাজ শুরু করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর প্রায় দুই বছর বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় এবং খেলাধুলার কোনো পরিবেশ না থাকায় ২০১৯ ও ২০ সালে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী তেমন ভর্তি হয়নি। চলতি বছরেও আশানুরূপ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।