‘বিদ্রোহী’ নিয়ে বিপাকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী

পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাচন।এখানে মেয়র পদে ৩ জন লড়ছেন

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

কয়েক দিন পরেই চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর এলাকা। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিপাকে থাকলেও বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাচন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। এখানে মেয়র পদে ৩ জন, কাউন্সিলর পদে ৫১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন লড়ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র হাজী আবদুল লতিফ এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন মিয়াজী। এখানে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সাবেক মেয়র মো. মোস্তফা কামাল।

গত রোববার দলীয় নেতা–কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় ক্ষমতাসীন নৌকা প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিএনপির তৃণমূল নেতা–কর্মীদের দাবি, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকায় বিপাকে পড়েছেন দলীয় প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে বিএনপির জয়টা সহজ হয়ে যেত। বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণেই এখন বিএনপির ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন মিয়াজী বলেন, নির্বাচনী মাঠে ভোটাররা বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা ধানের শীষ প্রতীককেই বিজয়ী করবেন। এখন শুধু সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি জনগণের অনুরোধে এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁর জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

উপজেলা রিটার্নিং কমকর্তা শিরিন আক্তার জানান, শাহরাস্তি পৌর নির্বাচনে ১২টি ওয়ার্ডে ১৩টি কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৮৭৭ ভোটার রয়েছেন।