‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে ঠেকাতে একাট্টা আওয়ামী লীগ

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। এই বিদ্রোহী প্রার্থীকে ঠেকাতে একাট্টা হয়েছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। বিভেদ ভুলে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দলীয় মেয়র প্রার্থী মো. শাহনেওয়াজ আলীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

একই সঙ্গে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলামকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলের স্রোতোধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১ জানুয়ারি দল থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীর উদ্দেশে ওই আহ্বান জানান।

পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারে উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে তাঁদের কর্মসূচি। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে পৌর নির্বাচনী সমাবেশ। ১৬ জানুয়ারি এই নির্বাচন হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জেলা  আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। তবে কানাডা থেকে ভিডিও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর আসনের সাংসদ মো. শফিকুল ইসলাম।

মেয়র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী পৌরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ২০১১ সালের পৌর নির্বাচন থেকেই বিরোধিতা করছেন সাংসদ আবদুল কুদ্দুস। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও বিরোধিতা করে ছিলেন তিনি। এবার তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই আরিফুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন দলের বিদ্রোহী তিনি। এরপরও বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার বিশ্বাস শাহনেওয়াজ আলীর আছে।

এ ব্যাপারে সাংসদ আবদুল কুদ্দুসের বক্তব্য নেওয়ার জন্য দুবার ফোন (সন্ধ্যা ৭-৫৬) দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সমাবেশে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মালেক শেখ, দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহাদ আলী সরকার, সহসভাপতি ও নাটোরের মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সহসভাপতি সামসুল হক, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুগ্ম সম্পাদক সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মাদ আলী, জেলা তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, চাটমোহর পৌর চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, সহসভাপতি ও জেলা নির্বাচন সমন্বয়ক ও পিপি সিরাজুল ইসলাম, গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মী-সমর্থকেরা বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। যোগ দিয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারাও।