সাংসদ ফিরোজের ভাতিজার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীকে হুমকির অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির হোসেন হাওলাদার। শনিবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
প্রথম অলো

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছেন আমির হোসেন হাওলাদার। আমিরের অভিযোগ, নৌকা নিয়ে প্রচারণায় নামার পর একদল ‘সন্ত্রাসী’ তাঁকে বারবার হুমকি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাঁকে প্রচারণায় মাঠে নামতে দিচ্ছে না বলে জানান তিনি।

আমির হোসেন আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী তাঁর ভাতিজা এনামুল হক আলকাসের পক্ষ নিয়ে এই নির্বাচন থেকে তাঁকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যের আমির হোসেন বলেন, চলতি ইউপি নির্বাচনে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজের ভাতিজা এনামুল হক আলকাস।

নৌকা নিয়ে আমির হোসেন প্রচারণায় নামার পর একদল ‘সন্ত্রাসী’ তাঁকে বারবার হুমকি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, ‘সাংসদ আ স ম ফিরোজের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি আমাকে অনেক নেতা-কর্মীর সামনে তাঁর ভাতিজা বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেন। আমি তাঁকে বলেছি, তাহলে ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নৌকা সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আসি। তাতে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন।’

আমির হোসেন বলেন, ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তখনো ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হন এনামুল হক আলকাস। নির্বাচনের তিন দিন আগে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দল থেকে তিনি কোনো সাহায্য পাননি। ফলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এনামুল হক আলকাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাংসদ আ স ম ফিরোজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথা ছড়ানো হচ্ছে। তিনি (প্রার্থী আমির হোসেন) মুঠোফোনে জানান, তাঁর স্বাস্থ্য খারাপ। তখন আমি বলি, স্বাস্থ্য খারাপ হলে উভয়কে নিয়ে বসো, বসে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নাও।’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে কিছু নোংরা লোক আছে। আমি সেই নোংরা না। আমি রাজনীতি করি পরিচ্ছন্নভাবে। কিন্তু লোক দূর থেকে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এ ধরনের নানা অভিযোগ ওঠাচ্ছে।’

সাংসদ আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমার কোনো ভূমিকা নেই। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করে, তাহলে প্রশাসনের নজরে আনতে হবে। প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাজ করবে।’