বিনা অনুমতিতে শৌচাগার ব্যবহার, শিক্ষককে আটকে রাখলেন ব্যবসায়ী
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী নতুনবাজারের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শৌচাগার অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের কারণে এক শিক্ষককে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক এ বিষয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম সুপন চাকমা। তিনি উপজেলার অনাথ আশ্রম আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ওই শিক্ষক মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে বোয়ালখালী নতুনবাজারের বেলাল বীজভান্ডারের দোতলায় শৌচাগারে প্রস্রাব করতে যান। বের হওয়ার সময় দেখেন ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। এ সময় ফটকে উপস্থিত ব্যবসায়ী আফজাল হোসেনকে তালা খুলে দিতে বললে তিনি খারাপ আচরণ করেন। বিনা অনুমতিতে শৌচাগারে যাওয়ায় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হবে বলে তিনি জানান। ১০ মিনিট আটকা থাকার পর ওই শিক্ষক মুঠোফোনে আরেক শিক্ষকের কাছে সাহায্য চান। পরে তিনি গিয়ে সুপন চাকমাকে উদ্ধার করেন।
শিক্ষক সুপন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আফজাল হোসেনের দোকান থেকে প্রায় সময় সওদা করি। পূর্বপরিচয় আছে বলেই শৌচাগারে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে যে খারাপ আচরণ করে ফটকে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, তা একজন চোরের সঙ্গেও করে না। আমি বারবার ক্ষমা চেয়েও তালা খোলাতে পারিনি।’
একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরুণ শান্তি চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুপন আমাকে ফোন দেওয়ার পর বেলাল বীজভান্ডারে গিয়ে আমি খুঁজতে থাকি। পরে দেখি তাঁকে ফটকে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আমি আফজালকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। বারবার অনুরোধ করার পর তালা খুলে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, ‘ওই শিক্ষককে আমি চিনি না, তিনি আমার পরিচিতও নন। কারও শৌচাগারে গেলে অনুমতি নিতে হয়। তিনি অনুমতি না নিয়ে শৌচাগারে ঢুকেছেন। আটকে রেখেছে সত্যি, কিন্তু খারাপ আচরণ করিনি।’
বোয়ালখালী নতুনবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন শিক্ষককে আটকে রাখার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’