বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আ.লীগের প্রার্থী হাসেম খান

আবুল হাসেম খান

করোনাকালে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে উপনির্বাচনে আর ভোটের দরকার হচ্ছে না। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম খান।

আজ রোববার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এই আসনে উপনির্বাচনে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই–বাছাইয়ে দুইজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে রোববার জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন করেন। এ অবস্থায় একমাত্র প্রার্থী রইলেন আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম খান। ২৪ জুন তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

কুমিল্লা–৫ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবদুল মতিন খসরু গত ১৪ এপ্রিল রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২২ এপ্রিল এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ২ জুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, এই আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে ২৩ জুন, ভোট গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ২৮ জুলাই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের ৩৫ জন মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। ১২ জুন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে জাপার প্রার্থী ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমিও লোকমুখে শুনেছি জসিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছে। জসিমের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।’

এ প্রসঙ্গে আবুল হাসেম খান বলেন, ‘বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বলেছিলাম, আগামীতে এমপি নির্বাচন করব। আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। এ জন্য দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এই অর্জন বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের জন্য উত্সর্গ করলাম। দলের সর্বস্তরের নেতা–কর্মী ও এলাকা নিয়ে কাজ করব।’