বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ, তিস্তার পাড়ে মানুষের ঢল

করোনার কারণে বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ। তাই ঈদের ছুটিতে ঘুরে বেড়াতে তিস্তা নদীর চরে গেছেন অনেকেই। গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু, রংপুর
ছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরের বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ। একটু খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে ঈদের দিন শুক্রবার তিস্তা নদীর তীরে মানুষের ঢল নামে। পরিবারের সদস্যরা কখনো হেঁটে, আবার কখনো নৌকায় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ঈদের পরের দিন আজ শনিবার প্রচণ্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করে লোকজনকে বেড়াতে দেখা গেছে।

আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সের মানুষের উপস্থিতি। শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে ঘাঘট নদের পাড়ে দেখা যায়, গাছের ছায়ায় মানুষজন বসে আছেন। আবার অনেক পরিবারের সদস্যরা দল বেঁধে ঘুরছেন। শহরের কটকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সামসুল আলম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘অটোরিকশা ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করে ঘুরতে বেরিয়েছি। করোনাভাইরাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সন্তানেরা একেবারে ঘরবন্দী। তাদের জন্যই একটু খোলামেলা পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো।’

জেলার কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্রচালিত বড় নৌকায় করে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে নদীর বুকে ঘুরছেন। তিস্তা সেতু এলাকায় রংপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ রাহাত হোসেনের দেখা মিলল। তিনি বলেন, ‘নদীর পাড়ে ঘুরতে ভালোই লাগে। আর তাইতো শহরের কোলাহলময় পরিবেশ থেকে একটু গ্রামের দিকে ছুটে আসা। বেশ ভালোই লাগছে।’

এ ছাড়া শহরের জিলা স্কুলের বিশাল মাঠেও শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। এখানে জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোকসেদুল ইসলাম বলেন, ‘এত বড় দিগন্তজোড়া মাঠে কত দিন আসা হয় না! তার ওপর বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ। এই মাঠে এসে মুক্ত বাতাসে বসে শ্বাস নেওয়ার আনন্দই আলাদা।’

প্রতিটি উন্মুক্ত স্থানে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানালেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ। তিনি বলেন, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যদের টহল রয়েছে।