বিবাহিত দুই নেতার হাতে দুই কলেজ কমিটি

■ সম্প্রতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহিষ্কার হন আজিজুল হক কলেজের সাধারণ সম্পাদক।

■ ২০১৬ সালে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলার জেরে বহিষ্কার হন শাহ সুলতান কলেজের সভাপতি।

এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দিয়ে চলছে বগুড়া ছাত্রলীগের দুটি কলেজ শাখা কমিটির কার্যক্রম। এর মধ্যে সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগ সাড়ে চার বছর ধরে চলছে সাধারণ সম্পাদক দিয়ে। আর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার হওয়ায় আজিজুল হক কলেজ শাখার কার্যক্রমও চলছে শুধু সভাপতি দিয়ে। এই দুজনই বিবাহিত।

দুটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বেনজীর আহমেদ সভাপতি ও আসলাম হোসেন সম্পাদক পদ পান। পরের বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বেনজীর ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান যুবলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির নেতা নুরুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইব্রাহীম হোসেন ওরফে সবুজ নিহত হন। এর জেরে শহরে মিছিল করে ছাত্রলীগ। একপর্যায়ে পুলিশের মোটরসাইকেল পোড়ানোর জেরে বেনজীরকে সংগঠন থেকে প্রথমে বহিষ্কার করা হয় এবং পরে আংশিক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

সরকারি আজিজুল হক ও শাহ সুলতান কলেজে ছাত্রলীগের কমিটিতে আছেন একজন করে নেতা। বর্তমানে তাঁরা দুজনই বিবাহিত।

২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর কে এম মোজাম্মেল হোসেনকে সভাপতি ও রাকিব হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে আবার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলে সাত দিনের মাথায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে ভাগ্য খুলে যায় আবদুর রউফের। সম্পাদকের পদ পান রউফ। এরপর আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। দুই সদস্যের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চলে সাড়ে চার বছর। সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবদুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়। এখন কলেজ ছাত্রলীগ চলছে শুধু সভাপতি কে এম মোজাম্মেলকে দিয়ে। তিনি বিবাহিত।

সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালের ১২ মে। কমিটিতে বিশ্বজিৎ সরকারকে সভাপতি ও জাকিউল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলার জেরে সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমারকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সেখানে একজনকে দিয়ে চলছে ছাত্রলীগের কার্যক্রম। জাকিউলও বিবাহিত।

এক সদস্য দিয়ে কার্যক্রম চলার বিষয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক বলেন, করোনায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কলেজ কমিটির পুনর্গঠন বিলম্বিত হচ্ছে।