বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ

রক্ত কমলেশ্বর শিবঠাকুর মন্দির কমিটির অভিযোগ, মন্দিরের রেকর্ডের সম্পত্তিতে প্রশাসন জোর করে ভবন নির্মাণ করছে।

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র
প্রতীকী ছবি

বিরোধপূর্ণ জমিতে ঝালকাঠি পৌর তহশিল অফিসের ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করতে যায়। এ সময় রক্ত কমলেশ্বর শিবঠাকুর মন্দির কমিটির সদস্যদের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ঝালকাঠি শহরের কালীবাড়ি বারোচলা এলাকায় পুরোনো পৌর তহশিল অফিসটি অবস্থিত। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গত ৬ জুন নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনির এন্টারপ্রাইজ।

পৌর তহশিল অফিসের পাশে ২ দশমিক ৪৩ একরে একটি পুকুর ও পতিত জমি ভরাট করে নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। মন্দির কমিটির দাবি, শ্রীশ্রী রক্ত কমলেশ্বর শিবঠাকুরের রেকর্ডের সম্পত্তিতে জেলা প্রশাসন জোর করে তহশিল অফিস নির্মাণ করছে। বিষয়টি নিয়ে ঝালকাঠি আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা চলমান। আদালত জেলা প্রশাসককে কেন কাজ বন্ধ করা হবে না মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। তবে কাজ বন্ধে এখন পর্যন্ত আদালত কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি।

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, ভবনের জায়গা নির্ধারণের আগে মন্দির কমিটির সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে মন্দির কমিটির সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁদের দখল হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার ও জমির বদলে জমি দাবি করেন। পরে জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করে।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার নাথ বলেন, আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসক ঠিকাদারের মাধ্যমে মন্দিরের জায়গায় অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের বাধার মুখে আজ (গতকাল) ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকলেও কাজ বন্ধ রাখার জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আগামী সপ্তাহে মন্দির কমিটির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে।