বিরোধপূর্ণ জমির গম কাটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ

রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুরের বদরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমির গম কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় এক এসআইসহ দুই পুলিশকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে আবু সাঈদ (৪২) ও আবু সায়েম (৪৫) নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বৃত্তিপাড়া গ্রামে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারী আবু সাঈদ ও আবু সায়েম মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মাদক, চুরি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে আবু সাঈদের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, বাড়ির পাশে ৬০ শতক আবাদি জমির মালিকানা দাবি করে তিনি প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আদালতে মামলা করেন। সম্প্রতি আদালত তাঁর (ইদ্রিসের) পক্ষে রায় দেন। গতকাল বুধবার সকালে শ্রমিক নিয়ে তিনি ওই জমির গম কাটতে গেলে বদরগঞ্জ থানার এসআই স্বপন চন্দ্র রায় ও একজন কনস্টেবল সেখানে গিয়ে গম কাটতে বাধা দেন।

ওই জমির গম জোরপূর্বক কাটা হচ্ছে এই মর্মে বুধবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমি একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়ে গম কাটতে নিষেধ করি।
স্বপন চন্দ্র রায় , উপপরিদর্শক, বদরগঞ্জ থানা

ইদ্রিস আলীর অভিযোগ, গম কাটতে বাধা দেওয়ার কারণ পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এসআই স্বপন ও কনস্টেবল আতিক ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ছেলে আবু সায়েম ও আবু সাঈদকে মারপিট করেছেন। পরে ধরে নিয়ে গিয়ে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধেই থানায় সাজানো মামলা করেছে পুলিশ।

প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে আমি ভোগ দখল করছি। ইদ্রিস আলী জমির সপক্ষে রংপুর আদালত থেকে রায় পেলেও আমি উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আমি ওই জমিতে গম চাষ করেছি।’

জানতে চাইলে এসআই স্বপন চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই জমির গম জোরপূর্বক কাটা হচ্ছে এই মর্মে বুধবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিনি একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়ে গম কাটতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইদ্রিস আলীর ওই দুই ছেলে তাঁদের মারধর করেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গলায় কাঁচি ধরেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে তিনি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। পুলিশ মারধর করেছে, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ সেখানে কাউকে মারধর করেনি।