বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর পর্নোগ্রাফি মামলায় কলেজছাত্র গ্রেপ্তার

ঘটনার বিবরণ তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। বুধবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সম্মেলন কক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার পর এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে দুপুরে রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার জামালপুর চকপাড়া এলাকা থেকে ওই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিয়ামুল হাসান
ছবি: সংগৃহীত

ওই শিক্ষার্থীর নাম নিয়ামুল হাসান রাতুল (২৪)। তিনি জামালপুরের চকপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার ছেলে। নিয়ামুল রাজশাহী কলেজের একটি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস। এ সময় জানানো হয়, ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে পুলিশের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেখানে চন্দ্রিমা থানা এলাকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী গত ২৭ আগস্ট একটি অভিযোগ দেন। তাতে তাঁকে হয়রানির বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি।

অভিযোগটি পরে ঢাকা থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। পুলিশের পরামর্শে ওই ছাত্রী চন্দ্রিমা থানায় গত ৩০ আগস্ট সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরে ওই ছাত্রী থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।

তদন্তে কলেজছাত্র নিয়ামুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পায় পুলিশ। তিনি নিজের মুঠোফোনে প্রতিবেশীর ঘরের জানালা দিয়ে গোপনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণা করতে থাকেন। তিনি ওই ছাত্রীর কাছে টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কলেজছাত্র নিয়ামুলকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ঘটনার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে রুহুল কুদ্দুস বলেন, কলেজছাত্র নিয়ামুলের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করেই তিনি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন।