বিশ্বসেরা পদার্থবিজ্ঞানীদের তালিকায় খুলনার অধ্যাপক হারুনর রশীদ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান অধ্যাপক মো. হারুনর রশীদ খান গুগল স্কলার সাইটেশনের সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বসেরা পদার্থবিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। গুগলের করা বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানীদের সাইটেশনের সংখ্যা ভিত্তিতে প্রথম ৯০০ জনের মধ্যে তিনি জায়গা করে নেন। আজ রোববার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যেকোনো তথ্যের তথ্যসূত্রকে সাইটেশন বলা হয়। অর্থাৎ কোনো গবেষকের একটি গবেষণাকর্ম অন্য যত সংখ্যক গবেষণাকর্মে সূত্র দিয়ে ব্যবহার করা হবে, তাকে ওই গবেষণাকর্মের ‘সাইটেশন সংখ্যা’ বলা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মো. হারুনর রশীদ খান বর্তমানে লিয়েনে সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনায় নিযুক্ত রয়েছেন। আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফিরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৫ সালে অধ্যাপক মো. হারুনর রশীদ খান জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) ফেলোশিপের আওতায় পোস্ট ডক্টরাল প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি ১৯৯৯ সালে জাপানের সাগা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইতালির দ্য আবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিকসের (আইসিটিপি) নিয়মিত সহযোগী হিসেবে সাত বছর নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে প্রায় পাঁচ বছর সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটিতে লিয়েনে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন।
হারুনর রশীদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট, রিসার্চ সেলের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বসেরা পদার্থবিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়ায় অধ্যাপক মো. হারুনর রশীদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, সহ-উপাচার্য মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন আফরোজা পারভীন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস, ডিসিপ্লিন প্রধান মো. রাশেদুর রহমান এবং ডিসিপ্লিনের সব শিক্ষক অভিনন্দন জানিয়েছেন।