বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার দুপরে এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বিষপান করে। নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুধারাম থানার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তরুণ পলাতক।

পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে। সে স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভিযুক্ত ওই তরুণের নাম ফজলে রাব্বি ওরফে রুবেল (২০)। তিনি সদর উপজেলার শল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

ছাত্রীর চাচা বলেন, রোববার দুপুরে মা–বাবা কিংবা পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ওই ছাত্রী একাই ছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন ফজলে রাব্বি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ‘অপমান সইতে না পেরে’ রাত আটটার দিকে বিষপান করে তাঁর ভাতিজি। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফজলে রাব্বি প্রায় তিন বছর আগে সুবর্ণচরের আটকপালিয়া বাজারে ছাত্রীর বাবার দোকানে কর্মচারী ছিলেন। সে সুবাদে বাড়িতে যাতায়াত ছিল। দোকানের চাকরি চলে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন রাব্বি।

সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, পরিবার অভিযোগ করেছে, ফজলে রাব্বি নামের এক তরুণ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। যার কারণে অপমান সইতে না পেরে সে বিষপান করেছে। প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তকালে ধর্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চিকিৎসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।