বিয়ের আসর থেকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

পিরোজপুর পৌরসভায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে (২২) বিয়ের আসর থেকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর বিয়ে ভেস্তে যায়। এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে মেয়েটির বাবা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ছাত্রীর পরিবার ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ছাত্রীর বাসভবনে বিয়ের আক্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে বরপক্ষের লোকজন আসে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আক্দ অনুষ্ঠান শুরুর আগে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামানসহ দুই-তিনজন ছাত্রীর বাড়িতে আসেন। তাঁরা ঘরে ঢুকে বরপক্ষের লোকজনের সামনে ছাত্রীটিকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন। এ সময় অনিরুজ্জামান ছাত্রীকে টানাহেঁচড়া করেন এবং পিস্তল বের করে ভয় দেখান। সেখানে উপস্থিত আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাধা দিলে হুমকি দিয়ে অনিরুজ্জামান চলে যান। এ ঘটনার পর বরপক্ষের লোকজন ভয়ে বিয়ে বন্ধ করে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ছাত্রীর বাবা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের আসরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান দুই-তিনজন যুবককে নিয়ে আসেন। তাঁরা আমার মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পৌরসভার ধুপপাশা মহল্লার আবদুল আলীম ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে হুমকি দেন অনিরুজ্জামান।’

এ সম্পর্কে অনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই মেয়েটির সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি কয়েক জনকে মেয়েটির বাসায় পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা বিয়ে বন্ধ করে আলীমের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। মেয়েটিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। আমি নিজেও সেখানে যাইনি।’
অনিরুজ্জামানের ওই দাবি সঠিক নয় উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আবদুল আলীমের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। আলীম বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করেছে। তার বাবাসহ জেলা যুবলীগের সভাপতির কাছেও বিভিন্ন সময় নালিশ করেছি।’ তিনি বেলা সাড়ে তিনটায় জানান, এ ঘটনায় মামলা করার জন্য সদর থানায় রয়েছেন।

সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুস সোবাহান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।