বিয়ের রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নববধূর, স্বামীর দুলাভাইকে গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনটে বিয়ের রাতে নববধূকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে তাঁর স্বামীর দুলাভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির (৩০) বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের একটি গ্রামে।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ওই তরুণীর বিয়ে হয় ধুনটের একটি গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবকের (২৩) সঙ্গে। বিয়ের আগে মেয়েপক্ষ বরের এ সমস্যার কথা জানত না। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিনই নববধূকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। বরের দুলাভাই নববধূকে ধর্ষণ করেন।

তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

নববধূ বিষয়টি তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তাঁরা উল্টো মিথ্যা বলার অভিযোগে নববধূকে মারধর করেন। ২৫ মার্চ রাতে স্বামীর দুলাভাই নববধূর ঘরে আবার এলে তিনি বিষয়টি তাঁর বাবাকে মুঠোফোনে জানান। বাবার বাড়ির লোকজন তরুণীকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে স্বামীর দুলাভাই, ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে জামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেন।

থানাহাজতে আটক মামলার প্রধান আসামি অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিয়ের রাতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার শ্যালক প্রতিবন্ধী। তাই মেয়েটি তাঁর স্বামীকে পছন্দ করছেন না। এ কারণে তাঁরা আমাদের কাছে তাঁদের মেয়েকে তালাকসহ মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করছেন। এ টাকা না দেওয়ায় তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।’

ধুনট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।