বুয়েট সচল হওয়ার পথে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)

র‌্যাগিং ও সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রেখে বিজ্ঞপ্তি জারির পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাসে ফিরে যাওয়র বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

বুয়েটে ২৮ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার সম্ভাব্য যে তারিখ দেওয়া হয়েছে, সেই পরীক্ষায় বসার বিষয়টিকে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক মনে করছেন। এর মধ্য দিয়ে  বুয়েটের দুই মাসের অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর থেকে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়। সর্বশেষ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, তিন দফা দাবি পূরণ হলে ২৮ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিতে তাঁরা প্রস্তুত।

শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, কয়েক দিন আগে আবরার হত্যায় অভিযুক্ত ২১ শিক্ষার্থীসহ মোট ২৬ জনকে বুয়েট থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় দুইটি হলের আরও ২৬ জন ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট প্রশাসন জানিয়েছে, র‍্যাগিং ও সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকলে বহিষ্ককারসহ বিভিন্ন রকমের শাস্তি দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের কার্যত তিন দফা দাবি পূরণ হলো।

এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃস্থানীয় একজন আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, গত রাতে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। এখন এটি নিয়ে তাঁরা আজ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন। এর পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন। এরপর কাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের অবস্থান জানাবেন।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ২৮ ডিসেম্বর টার্ম ফাইল পরীক্ষার যে তারিখ ঠিক করা হয়েছে, এতে তাঁরা অংশ নিতে ইচ্ছুক। কারণ পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষতি তাঁদেরই হচ্ছে।