বেইলি সেতুর পাটাতন ধসে যান চলাচল বন্ধ

বেইলি সেতুর পাটাতন ধসে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। আজ শনিবার মদন উপজেলার বয়রাহালা এলাকায়।
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনা-মদন সড়কের বয়রাহালা নদীর ওপরের বেইলি সেতুটির পাটাতন আবার ধসে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে মালবোঝাই ট্রাক পার হওয়ার পর পাটাতন ধসে যায়। আজ শনিবার রাত পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ পাটাতন ঠিক করতে পারেনি। এ কারণে সেতুর দুই পাশে আটকা পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি জোড়াতালি দিয়ে চলছিল। এ কারণে কিছুদিন পরপর ভেঙে যায়। এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই সেতুটির পাটাতন ধসে যায়।

মদনপুর পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর এলাকার বাসিন্দা রোয়ান সিদ্দিকী বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর দুই পাশে ট্রাক, বাস, লরি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ প্রচুর গাড়ি আটকা পড়েছে। এতে যাত্রী ও পথচারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা-মদন সড়কের ২৫ কিলোমিটারে দুটি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে বয়রাহালা নদীর ওপর সেতুটি আশির দশকের প্রথম দিকে নির্মাণ করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৯৫ মিটার, প্রস্থ ১২ ফুট। এটির ওপর ৩ ফুট করে ২ শতাধিক পাটাতন রয়েছে। পাটাতনগুলো পুরোনো হওয়ায় জং ধরে মাঝে মাঝে ফাঁকা হয়ে রয়েছে। ভারী যানবাহন ওপরে উঠলে সেতুটি কাঁপে। বৃহস্পতিবার সকালে মদন থেকে অতিরিক্ত মালবোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার পর সেতুটির একটি পাটাতন সরে যায়। এরপর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে সেতুটির দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে জটের তৈরি হয়।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মদন, খালিয়াজুরি, আটপাড়া ও কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়া এটি দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক পর্যটক মদন ও খালিয়াজুরির হাওর দেখতে যান। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচলকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় বলেন, সেতুটি মেরামত করা হচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে তিন-চার দিন সময় লেগে যেতে পারে। এখানে বেইলির পরিবর্তে পাকা সেতু করার প্রস্তাবও পাঠানো আছে।